তীর্থঙ্কর মুখার্জি, কলকাতা : বাংলায় এখনও চোখ রাঙাচ্ছে করোনার সংক্রমণ। এই অবস্থায় লকডাউন শিথিল করলেও একেবারে তুলে দেওয়ার সাহস দেখাল না নবান্ন। জুলাই মাসের ১ তারিখ পর্যন্ত কার্যত লকডাউন জারি থাকবে বাংলাজুড়ে। এমনটাই জানালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে সংক্রমণ কমছে। এই মুহূর্তে সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্র মিলিয়ে প্রায় ২ কোটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যত লকডাউনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ১৬ তারিখ। আর তার আগেই বিধি নিষেধের ১ জুলাই পর্যন্ত কড়া বিধিনিষেধ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে সময়সীমার মধ্যে তা খোলার কথা বলা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী মেট্রো কিংবা লোকাল ট্রেন এখনই না চালানোর সিদ্ধান্তই বহাল রাখলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তবে স্পেশাল ট্রেন যেমন চলছে তেমনই চলবে বলে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে।
তবে ছাড় দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে। দোকান-বাজার খোলার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে খোলা যেতে পারে রেস্তরাঁ, হোটেল, শপিং মল। তবে দুপুর ১২ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এসব। রেস্তরাঁয় ৫০ শতাংশ গ্রাহকের বসার ব্যবস্থা করা যাবে। শপিং মলে ৩০ শতাংশ ক্রেতা প্রবেশ করতে পারবেন। এমনটাই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে।
কঠোরভাবে করোনা বিধি মেনে তবেই এসব ব্যবসা চালানো যাবে। কর্মরত প্রত্যেকের যেন টিকাকরণ হয়, সে দিকে কড়া নজর রাখা হবে। ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেই সকালে মর্নিং ওয়াক করা যাবে। সোমবার নবান্নে এ নিয়ে জরুরি বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী এই ঘোষণা করেন। এছাড়াও শুটিং ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যে প্রায় ২কোটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছ। এছাড়াও সংক্রমণের রেট ৪ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে বলেও দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর টা ধীরে ধীরে আরও কমবে বলে আশা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের।
রাত ৯টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাইট কার্ফু না বলা হলেও এই সময়ে সমস্ত যাতায়াত কিংবা যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এই সময়ে একমাত্র জরুরি পরিষেবাতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সময়ে জরুরি কাজ ছাড়া রাস্তায় বের হলে কড়া ব্যবস্থা পুলিশ নিতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এছাএয়াও স্কুল-কলেজ সমস্ত কিছু আপাতত বন্ধ থাকছে বলেও জানানো হয়েছে। এছাড়া জিম, স্পা, বিউটি পার্লার সহ বেশ কিছু বন্ধ থাকবে।