চিনের সাথে মোকাবিলায় বায়ুসেনার সিদ্ধান্ত ! পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারায় তৈরি থাকবে রাফাল
BAHRS GLOBAL NEWS, 24 JUL 2020 অমিত শর্মা , নয়া দিল্লি : ভারত এখনো হাতে রাফাল যুদ্ধ বিমান হাতে না পেলেও কয়েকদিনের ভেতর আসতে চলেছে রাফাল। ভারতীয় বায়ুসেনার ইতিহাসে রাফালের অন্তর্ভুক্তি নি:সন্দেহে স্মরণীয় ঘটনাও হতে চলেছে৷ তবে এই মুহুর্তে ৩৬টির যুদ্ধ বিমানের মধ্যে প্রথম দফায় ৫টি বিমান আসার কথা রয়েছে দেশে ৷
প্রথম দফায় ভারতে আসা রাফালগুলিকে আপাতত পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা এবং হরিয়ানার আম্বালার বিমান ঘাঁটিতে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে ৫৯০০০ কোটি টাকার বিনিময়ে ফ্রান্সের থেকে ৩৬টি রাফাল কেনার চুক্তি করে ভারত। এই মুহুর্তে ৪২টি স্কোয়াড্রনের অনুমোদন থাকলেও বায়ুসেনার হাতে তার থেকে ১২টি কম স্কোয়াড্রন রয়েছে৷
বাহিনীর সংখ্যার দিক দিয়েও প্রয়োজনের তুলনায় ঘাটতি রয়েছে বায়ুসেনার৷ ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের ৭৪০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে৷ আর চিনের সঙ্গে রয়েছে ৩৪৪৮ কিলোমিটারের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা৷ ফলে অল্প সময়ের মধ্যে এই বিস্তীর্ণ এলাকার উপরে নজরদারির জন্য রাফালের জুড়ি মেলা ভার৷
সেকথা মাথায় রেখেই রাফাল স্কোয়াড্রনের জন্য হাসিমারা এবং আম্বালাকে বেছে নেওয়া হয়েছে৷ হাসিমারার এই বিমানঘাঁটিটি শিলংয়ের ইস্টার্ন এয়ার কম্যান্ডের অধীনে পড়ে৷ হাসিমারাকে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ উত্তর- পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের সংযোগকারী ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘চিকেনস নেক’ বা শিলিগুড়ি করিডরকে রক্ষা করা ৷
শিলিগুড়ি করিডরের উত্তর দিকে নেপাল এবং দক্ষিণ দিকে রয়েছে বাংলাদেশ৷ এর পাশাপাশি চিনাদের থেকে সিকিমের নাথুলা পাসকে রক্ষা করার দায়িত্বও রয়েছে এই হাসিমারা বিমানঘাঁটির উপরে৷ যুদ্ধ বাঁধলে সেক্ষেত্রে গ্যাংটক, বিন্নাগুড়ি এবং কালিম্পংয়ে সেনার তিনটি মাউন্টেন ডিভিশনকে হাসিমারা বিমানঘাঁটি থেকে বায়ুসেনা কী ধরনের সাহায্য করতে পারে, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে৷
২০১৭ সালে ভূটানের জমিতে জোর করে রাস্তা তৈরির চেষ্টা করেছিল চিন৷ যা নিয়ে ডোকলামে ভারত এবং চিনা সেনার মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেই ডোকলামের নজরদারির দায়িত্বও রয়েছে এই হাসিমারা বিমানঘাঁটির উপরে৷