চাষের জমিতে উদ্ধার ১১ জন পাকিস্তানি হিন্দু শরণার্থীদের দেহ ! ১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
BAHRS GLOBAL NEWS, 10 AUG 2020 অমিত শর্মা , নয়া দিল্লি : একই পরিবারের ১১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে চাষের জমিতে। আশঙ্কা জনক অবস্থায় ১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বয়ানেই মিলেছে ঘটনার সামান্য ইঙ্গিত। পুলিসের অনুমান কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে তারা। যদিও তার সপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি এখনও।
দেহের পাশেই মিলেছে কীটনাশকের খালি কৌটা। এর থেকেই প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে তাঁরা। সকলেই পাকিস্তানি হিন্দু শরণার্থী বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
যোধপুরের লোডটা গ্রােম থাকত গোটা পরিবার। পরিবারের ৩৮ বছরের এক মহিলার দেহের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। পুলিসের অনুমান বিষ ইঞ্জেকশন দিয়ে হত্যা করা হয়েছে গোটা পরিবারকে। প্রথমে খাবারের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল। তারপরে বিষ ইঞ্জেকশ দেওয়া হয় গোটা পরিবারকে। মৃতদের তালিকায় রয়েছে ৩ জন মহিলা, ২ জন পুরুষ এবং ৫ জন শিশু।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার ও যোধপুরের জেলাশাসক ইন্দ্রজিৎ সিং-সহ উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তারা। তদন্তে যায় ডগ স্কোয়াড এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের দল।
প্রাথমিক ভাবে পুলিস অনুমান করছে পারিবারিক বিবাদ থেকেই খুন। কারণ লক্ষ্মী নামে একজন ছাড়া বাকি সকলের হাত দড়ি দিয়ে বাধার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। কেবল মাত্র লক্ষ্মীর হাতই দড়ি দিয়ে বাধা ছিল না। এই লক্ষ্মী নার্সের প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের ১২ তম সদস্য কেবল রামকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিস। ২০১৫ সালে তাঁরা পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছিল।