মিষ্টু মুখার্জি, কলকাতা : রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। রবিবার সেরকম বৃষ্টি না হলেও ভোর রাত থেকেই কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি চলছে। সমুদ্র রয়েছে উত্তাল। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকে এই আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে।
সোমবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালের কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। তবে সব জেলারই কোথাও না কোথাও বর্ষার বৃষ্টি অর্থাৎ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আপাতত দিনের তাপমাত্রার পরিবর্তনের সেরকম কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানানো হয়েছে।
এদিন সকালে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরে ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়ায় ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ার কোনও কোনও জায়গায়।
এছাড়া বাকি জেলাগুলির কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালের মধ্যে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাবে। দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে এই বৃষ্টির জেরে আপাতত দিনের তাপমাত্রার কমার সেরকম কোনও পূর্বাভাস নেই।
সোমবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ সাধারণভাবে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩২ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। কলকাতাতেও ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এবং সংলগ্ন এলাকায় থাকা নিম্নচাপ পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে এবং তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ওড়িশা উপকূলের চাঁদবালির কাছে অবস্থান করছে সেটি। যা আগামী ৪৮ ঘন্টায় উত্তর ওড়িশা, উত্তর ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশের দিকে যাবে। এই পরিস্থিতিতে সমুদ্রে দমকা হাওয়া রয়েছে। যার জেরে আবহাওয়া দফতরের তরফে মৎস্যজীবীদের বলা হয়েছে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁরা যেন গভীর সমুদ্রে না যান।