এমডি রেমাজুল, শিলিগুড়ি : টানা পাঁচ দিনের ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে উত্তরবঙ্গ সফরে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলিগুড়িতে পৌঁছেই তিনি সোমবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং পরে কোচবিহারের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। মঘলবার আজ আলিপুরদুয়ার কর্মসূচি রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রয়েছে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক, পরে সভাও করবেন তিনি।
সোমবার বিকেলের বিমানে কলকাতা থেকে বাগডোগরায় যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে সোজা উত্তরকন্যায়। শিলিগুড়িতে পৌঁছেই তিনি উত্তরকন্যায় সেখানকার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে গৌতম দেব ছাড়াও হাজির ছিলেন, জেলা মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত, জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার এবং জেলা যব তৃণমূল সভাপতি কুন্তল রায়। যুবর রাজ্য সাধারন সম্পাদক বিকাশ রঞ্জন সরকার। এই বৈঠকের পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের যুব তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সব মিলিয়ে প্রায় চার ঘন্টা বৈঠক চলে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সাধারণ মানুষজনের একজনও যাতে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন, সেব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও প্রত্যন্ত যেসব এলাকায় সরকারি কর্মীরা পৌঁছতে পারছেন না, সেইসব জায়গায় তৃণমূল কর্মীরাই যাতে সরকারি পরিষেবা সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে পারেন, তার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন, যুব তৃণমূল সভাপতি। বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিতে যাতে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকেই হাতিয়ার করা হয়, সেব্যাপারেও নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন যাচ্ছেন আলিপুরদুয়ারে। সেখানে তিনি একটি দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তারপর তিনি একটি দলীয় বৈঠকে যোগ দেবেন। রাতে শিলিগুড়িতে ফিরে বুধবার জলপাইগুড়িতে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। বৃহস্পতিবার তিনি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে সভা করবেন। সেদিনই শিলিগুড়ি ফিরবেন তিনি। এরপর আটই জানুয়ারি শুক্রবার উত্তরকন্যায় ফের বৈঠক। সেদিনই কলকাতায় ফেরার কথা রয়েছে তাঁর।
পুজোর সময় বিমল গুরুং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন। সেই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফরে বিমল গুরুং-এর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফরে সঙ্গী হয়েছেন, দলের পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরও। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে সব থেকে বড় ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আটটি লোকসভা আসনের মধ্যে সাতটিই আসনই দখল করে ছিল বিজেপি।