করোনার জেরে ৭২তম সাধারণতন্ত্র দিবসে থাকছেনা প্রধান অতিথি,বাইক স্টান্ট বাতিল সহ কমছে অনুষ্ঠান

তীর্থঙ্কর মুখার্জি, কলকাতা : আগামীকাল ভারতে পালিত হবে ৭২তম সাধারণতন্ত্র দিবস। তবে ৫৫ বছরে এই প্রথম প্রথা ভেঙে কুচকাওয়াজে উপস্থিত থাকবেন না কোনও প্রধান অতিথি। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পালটাচ্ছে সাধারণতন্ত্র দিবসের বহু পুরনো প্যারেডের চিত্রও। এ ছাড়াও বাতিল করা হয়েছে মোটরসাইকেল স্টান্টসও।

করোনার কথা মাথায় রেখে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কুচকাওয়াজে অনেকটাই পরিবর্তন করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। গত বছর ১.২৫ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছিল এই অনুষ্ঠানে। কিন্তু এই বছর সেই সংখ্যা অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং মোট ১৫ হাজার মানুষ উপস্থিত থাকছেন বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৪,৫০০ জন টিকিট কেটে অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি টিমের প্রত্যেক সদস্যকে করোনা নির্দেশিকা মেনে মুখে মাস্ক পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের সংখ্যাও। সাধারণত বিজয় চক থেকে লাল কেল্লা পর্যন্ত ৮.২ কিলোমিটারের যে লম্বা প্যারেডের আয়োজন প্রতি বছর হয়, তাতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।

এবার লাল কেল্লার পরিবর্তে ন্যাশনাল স্টেডিয়াম পর্যন্ত এই প্যারেড চলবে। অর্থাৎ ৩.৩ কিলোমিটার হবে প্যারেডের আকার। ৭২তম সাধারণতন্ত্র দিবসে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, কিন্তু ব্রিটেনে করোনার নতুন স্ট্রেইন পাওয়ায় বরিস জনসন নিজেই ভারতে আসবেন না বলে জানিয়ে দিয়ে ছিলেন।

করোনা সংক্রামনের কথা মাথায় রেখে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ভেটেরানস প্যারেড, ন্যাশনাল ব্রেভারি অ্যাওয়ার্ড । সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু করোনা সংক্রমণ বাচ্চা ও বয়স্ক মানুষদের তাড়াতাড়ি হতে পারে, তাই এই দুই অংশ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এত কিছু মাথায় রেখে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও ভাবাচ্ছে আগামীকালের কৃষি আইনের বিরোধীতায় আন্দোলনরত কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল নিয়ে।

ইতিমধ্যেই সেই মিছিলের অনুমতি পুলিশ তাঁদের দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। যদিও দিল্লির পুলিশের “পি আর ও” অনিল মিত্তল জানিয়েছেন, কৃষকদের মিছিল করতে দেওয়া হবে কি না তা এখনও আলোচনার পর্যায়েই রয়েছে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।